**ওয়াশিংটন, ডি.সি.** — প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবর্তিত প্রতিশুল্কগুলি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক জলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যা তাদের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) নিয়মের সাথে সামঞ্জস্যতা নিয়ে বিতর্ক উত্থাপন করেছে। এই শুল্কগুলি আমেরিকান ব্যবসার জন্য সমতল ক্ষেত্র তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনের সাথে তাদের সম্মতি সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
**প্রতিশুল্কের ধারণা**
প্রতিশুল্কগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে আমদানির উপর সমতুল্য শুল্ক আরোপ করা যায়, যা মার্কিন পণ্যের উপর একই ধরনের শুল্ক আরোপ করে। এর উদ্দেশ্য হল ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলনকে উৎসাহিত করা এবং অভ্যন্তরীণ শিল্পগুলিকে রক্ষা করা। তবে, সমালোচকরা যুক্তি দেন যে এই ধরনের পদক্ষেপগুলি বাণিজ্য যুদ্ধে পরিণত হতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
**WTO-এর ভূমিকা এবং নিয়মাবলী**
WTO, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মগুলি পরিচালনা করে, অ-বৈষম্য এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতার উপর জোর দেয়। ট্রাম্পের শুল্কগুলি এই নীতিগুলির সম্ভাব্য লঙ্ঘনের জন্য পর্যালোচিত হয়েছে। যদিও মার্কিন প্রশাসন এই শুল্কগুলি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বলে রক্ষা করেছে, WTO-এর বিরোধ নিষ্পত্তি সংস্থা তাদের বৈধতা মূল্যায়নের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
**বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া**
এই শুল্কগুলির প্রবর্তন প্রভাবিত দেশগুলি থেকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের দিকে পরিচালিত করেছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে দীর্ঘস্থায়ী শুল্ক বিরোধগুলি বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভোক্তা মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে।
**উপসংহার**
বিশ্ব যখন শুল্কের এই কাহিনী দেখছে, তখন জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম মেনে চলার মধ্যে ভারসাম্য একটি সূক্ষ্ম বিষয় রয়ে গেছে। এই অর্থনৈতিক অচলাবস্থার ফলাফল আগামী বছরগুলিতে বৈশ্বিক বাণিজ্য গতিশীলতাকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করতে পারে।