সম্প্রতি এক বিবৃতিতে, ভারতের প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এস.ওয়াই. কুরেশি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন যে একটি মার্কিন সংস্থা ভারতের ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য তহবিল প্রদান করছে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুরেশি এই রিপোর্টগুলিকে “ভিত্তিহীন” বলে অভিহিত করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বাধীন এবং সার্বভৌম।
২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কুরেশি বলেছেন, “আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিদেশী সংস্থার প্রভাবের কোনো সত্যতা নেই। ভারতের নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে, কোনো বাহ্যিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে।”
একটি অজ্ঞাত সূত্রের রিপোর্টের পর অভিযোগগুলি উঠে আসে, যেখানে বলা হয়েছিল যে একটি মার্কিন সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে ভোটার অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে আর্থিক সহায়তা করছে। তবে কুরেশির বিবৃতি ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থার সততা সম্পর্কে কোনো সন্দেহ দূর করার লক্ষ্য রাখে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন, যা তার কঠোর পদক্ষেপ এবং স্বচ্ছতার জন্য পরিচিত, ভারতীয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে থাকে। কুরেশির মন্তব্যগুলি নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কমিশনের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করে।
দেশটি আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ভোটার অংশগ্রহণকে বৈধ এবং দেশীয় উদ্যোগের মাধ্যমে উৎসাহিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হচ্ছে, যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাহ্যিক প্রভাব ছাড়াই বজায় থাকে।